পুঠিয়ায় ফার্মেসিসহ যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট

পুঠিয়ায় ফার্মেসিসহ যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট

পুঠিয়ায় ফার্মেসিসহ যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট
পুঠিয়ায় ফার্মেসিসহ যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট

পুঠিয়া প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ছোট বড় ফ্যার্মেসি থেকে শুরু করে রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, পাড়া মহল্লার মোড়ে মোড়ে-দোকান গুলোতেও হাত বাড়ালেই মিলছে যৌন উত্তেজক মুনিস, স্টিমুলার, ইডিগ্রা, ফ্যামেগ্রা, সানেগ্রা, ভায়াগ্রাসহ নামে-বেনামে বিভিন্ন হারবাল কোম্পানির যৌন উত্তেজক ওষুধ। অবাধে চলছে কেনা বেচা। যার বেশিরভাগই অনুমোদনহীন ও নিম্নমানের।

এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চিকিৎসা পত্র ছাড়াই যৌন উত্তেজক জাতীয় এসব ওষুধ বিক্রি হয় অহরহ। কখন কিভাবে সেবন করতে হবে, তাও বলে দিচ্ছেন ফার্মেসিসহ মুদিখানার দোকানিরা।

বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, হাট-বাজার থেকেই এসব যৌন উত্তেজক ওষুধ প্রতিনিয়ত কিনছেন নানা বয়সের মানুষ। তারা বলছেন, খুব সহজেই খাওয়ার সাথে সাথে-এসব ওষুধ খুব কার্যকর-তাই তারা কিনছেন। অথচ, না বুঝে-এসব ওষুধ খেয়ে, দীর্ঘ-স্থায়ীভাবে কিডনি, চোখ, হার্টের রোগ বাড়াচ্ছেন অসচেতন মানুষরা।

কিভাবে বুঝলেন ভালো-এমন প্রশ্নের জবাবে, পৌর এলাকার একজন ক্রেতা বলছিলেন, শরীরে একটু ক্লান্তি ও বুঝেন-তো (সঙ্গী) কাছে যখন যাওয়ার সময় হয়, তখনি এসব সেবন করি। কিন্তু পরবর্তীতে কি হয় জানি না। কখনো ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন এমন প্রশ্নে মাহবুর ও আকবর (ছদ্মনাম) বলেন, প্রয়োজন হয়নি। আমাদের কিছু হয় না।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বলছিলেন, যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনের ফলে হৃদরোগ ও কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি কমে যায়। তাছাড়াও লিভার ও নার্ভ ড্যামেজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তিনি আরও বলেন “কেউ যদি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ ব্যবহার করেন তাহলে দ্রুত তা বন্ধ করা বাঞ্চনীয়। এটা কোনমতেই মনোরঞ্জন বা পুরুষত্ব দেখানোর জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।

সচেতন মহল মনে করেন, এলাকায় যত্রতত্র যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোসহ আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরী।

মতিহার বার্তা ডট কম: ০৫ নভেম্বর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply